নিজস্ব প্রতিবেশক :: বরিশালে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) মর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা মেজবা উদ্দিন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর একদিনের মাথায় মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে তার শরীরে প্রাণঘাতী করোনার অস্থিত্ব থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে সোমবার বিকেলে বরগুনার আমতলী থানা পুলিশের ওই কর্মকর্তা বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তির ৩০ মিনিটের মাথায় মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ কর্মকর্তা মেজবা উদ্দিন করোনা প্রজিটিভ থাকার বিষয়টি হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- পিরোজপুরের বাদুরা এলাকার মো. ফকরুলের ছেলে তিন সন্তানের জনক মেজবাহ উদ্দিনকে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু ঘটে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালে ভর্তির সময় রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তার। ভর্তির পর তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুর পরে পুলিশ কর্মকর্তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হলে সেই রিপোর্ট মঙ্গলবার প্রজিটিভ এসেছে, জানান বাকির।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এসআই মেজবাহ উদ্দিন জেলা এপিবিএন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে সাম্প্রতি তাকে আমতলী থানায় সংযুক্ত করা হয়েছিল। ২৬ জুন তিনি জ্বরে আক্রান্ত হলে ওই দিনই তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে বরিশাল হাসপাতালে ২৮ জুন ভর্তি করা হয়। সোমবার বিকেলে তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরে মৃত্যু ঘটে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিবারিক একটি সূত্র জানায়- সোমবার দিনগত রাতে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম মেনে পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের বাদুড়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয়েছে এসআই মেজবা উদ্দিনকে।