রাকিবুল ইসলাম তনু পটুয়াখালী প্রতিনিধি, পটুয়াখালী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ছোট চৌরাস্তার এলাকায় প্রস্তাবিত বিজয় সড়কের বেহাল অবস্থা। মাত্র ৩-৪’শ ফুট রাস্তার বেহাল অবস্থার কারনে প্রায় ১৫’শ ফুট রাস্তার দুই পাশের দুই সহাস্রাধিক মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, এলাকাবাসী ছোট চৌরাস্তার মোড় হতে দক্ষিনে তালুকদারবাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাস্তাটি বিজয় সড়ক নামকরন ও ৩ থেকে ৪’শ ফুট রাস্তা পুর্ন নির্মানের জন্য পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ এর কাছে দাবী করেন। এ দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র রাস্তাটির প্রস্তাবিত বিজয় সড়ক নামকরন অনুমোদন করেন কিন্তু আজ পর্যন্ত রাস্তার কোন উন্নতি হয় নাই ভাগ্য খোলেনি এলাকার বাসির,সুধু বেহাল দশার মধ্যে তাদের দিন কাটছে এরকম থাকলে মানুষের দুভোগের শেষ থাকবেনা কোন মা-বোন অসুস্থ হলে জীবনের ঝুকি নিয়ে তাদের নিতে হয় হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে। পাশে ড্রেনসহ ১৬ ফুট জায়গা ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব করেন। এলাকাবাসী কতক লোকে ক্ষতি লাঘবের জন্য মেয়রকে ১৪ ফুট দিতে রাজি হয়। মেয়র এ হিসাবে রাস্তা নির্মানে টেন্ডার আহবান করে কার্জাদেশ দিয়েছেন। কিন্তু করোনা ও অবিরাম বৃষ্টির কারনে কাজ বন্ধ রয়েছে বলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম মতিন মাহমুদ জাহিদ সিকদার জানান।
এলাকাবাসী জানান, উক্ত সড়কের ঠিক পাশে এলাহী নামক এক ব্যক্তি গরুর ফার্ম করে গরু পালন করেন। এ গরুর ফার্মের সকল বর্জ ময়লা আবর্জনা ও গরুর চোনায় রাস্তাটি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ বর্জ ও জলাবদ্ধতার কারনে ১৫ ফুট দীর্ঘ রাস্তার দুই পাশের দুই সহাস্রাধিক মানষ চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এলাহী জানান, বৃষ্টি ও পুকুরের পানিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতা হয়। আমার ফার্মেও বৃষ্টি ও পুকুরের পানিতে বর্জ্য বদ্ধতা হয়। এলাকার সুশিল সমাজের প্রতিনিধির অন্যতম এ্যাডভোকেট অলিউল ইসলাম, ডাঃ বারেক, মোঃ কায়ুম, ইউসুফ, খালেক মুন্সি ও মোসলেমসহ অন্যান্যরা পৌরসভার মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে মেয়র মহিউদ্দিন বলেন, করোনার প্রভাব ও অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারনে পৌরসভার সকল উন্নয়ন কাজ শম্ভুক গতি। তিনি বলেন, মানুষের দুর্ভোগ দেখলে খুব কস্ট হয় কিন্তু বৈশ্বিক মহামারির কারনে সকল উন্নয়ন কাজ স্থমিত হয়ে আছে। পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে কাজ করা হবে। এলাকার মানুষের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন মেয়র মহিউদ্দিন।