এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারত-চিন দু’পক্ষকেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের সীমান্ত সমস্যা মেটাতে আহ্বান জানাল ব্রিটেন। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পরামর্শ, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে দু’দেশকেই আলোচনার পথে গিয়ে তা নিজেদের মধ্যে মেটাতে হবে। পাশাপাশি, লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষকে ‘একটি অত্যন্ত গুরুতর এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতি’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন জনসন। লাদাখ সংঘর্ষ নিয়ে এই প্রথম সরকারি ভাবে বিবৃতি দিলেও গোটা পরিস্থিতির দিকেই যে ব্রিটেন নজর রাখছে, সে কথাও জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে লাদাখ সংঘর্ষের বিষয়ে মুখ খোলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স-এর সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন লাদাখ সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসনকে প্রশ্ন করেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ফ্লিক ড্রামন্ড। ‘কমনওয়েল্থ সদস্য ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র এক দিকে এবং যে দেশ গণতন্ত্রের ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ জানায়, সে দেশ অন্য দিকে’— এই দুই দেশের মধ্যে বিবাদে ব্রিটেনের স্বার্থ কী ভাবে প্রভাবিত হতে পারে, তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী জনসনের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ড্রামন্ড। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে জনসন বলেন, “আমি হয়তো এটাই বলতে পারি যে উভয় পক্ষই যাতে আলাপ-আলোচনায় মাধ্যমে তাদের সীমান্ত সমস্যা নিজেদের মধ্যে মেটাতে পারে, সে বিষয়ে উৎসাহিত করছি।”
১৫ জুন পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের বিষয়ে এত দিন কোনও বিবৃতি দেয়নি ব্রিটেন। তবে গোটা পরিস্থিতির দিকে যে ব্রিটেন নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, তা-ও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।
লাদাখে সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার ভারত-চিন কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠক হয়েছে। এর পরের দিন নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভারত-চিন, দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে পূর্বেকার সমঝোতা অনুযায়ী পারস্পরিক ঐকমত্যে এসেছে। পাশাপাশি, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আনন্দ বাজার