জিয়াউল কবীর, সাব্বির আহম্মেদ (রাজশাহী ব্যুরো)
পান বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় এটি পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে হাটবাজারে এমনকি পথঘাটে পান বিক্রেতা দেখা যায় । বিয়েবাড়িতে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও পান ছাড়া জমে না। রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানার প্রায় 80% কৃষকের পান ক্ষেত আছে। প্রতিবছর পান থেকে তারা বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করে থাকে। তবে পান চাষিদের সাথে সরাসরি কথা বলে জানা যায়, উৎপাদনের খরচ অনেক বেশি।
বর্তমান সময়ে তারা পান গাছ কে বাঁচিয়ে রাখতে যে কীটনাশক ব্যবহার করে তার দাম অনেক বেশি। এছাড়াও পান বরজে প্রয়োজন হয় অনেক বাঁশ, খড়, দড়ি, ইত্যাদি।এবং পান বরজ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে শ্রমিক দরকার তার মজুরি ও অন্যান্য শ্রমিক এর থেকে বেশি । অন্যান্য ফসলের তুলনায় এখানে শ্রমিক প্রয়োজন হয় অধিক। বর্তমানে পানচাষিরা আরেকটি সমস্যা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। পানের গোড়াপচনে তাদের পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এমনকি কারো কারো পান বরজ পুরাটাই মরে যাচ্ছে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পর্যায়ে কৃষিবিদ কোন ধরনের সুফল সমাধান দিতে পারেনি। সারা বছর যে পরিমাণ পান বিক্রি হয় তার সিংহভাগ বিক্রি হয় ফাল্গুন, চৈত্র মাসে এবং বৈশাখ মাসের শুরুতে।কিন্তু এবছর করোনাভাইরাস এর কারণে বিভিন্ন জায়গায় পানের হাট বসতে না পারায় কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। পানের ন্যায্যমূল্যের তারা এক-তৃতীয়াংশ পেয়েছে মাত্র। পান যেহতু একটি অর্থকরী ফসল এবং একটি বিদেশে রপ্তানি হয় । দেশেও এর ব্যাপক চাহিদা। তাই কৃষকগণ চান তাদের পান বরজের দিকে সরকার দৃষ্টিপাত করবে।তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবে।
এপিএস/১৭জুন/পিটিআই/স্বপন