জিয়াউল, আনোয়ার (রাজশাহী ব্যুরো)
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে জোনভিত্তিক বিভাজনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসহ জেলার তানোর ও চারঘাট উপজেলাকে ইয়োলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়। আর সিভিল সার্জন বলছে, আক্রান্তের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পুরো রাজশাহী জেলা গ্রীন জোনের মধ্যে পড়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কোনো কোনো এলাকা ইয়োলো জোনের মধ্যেও পড়ছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, রাজশাহী জেলায় গত সোমবার পর্যন্ত মোট ১৪৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছে ৪৯ জন, বাঘা উপজেলায় ১১ জন, চারঘাটে ১৪ জন, পুঠিয়ায় ১১ জন, দুর্গাপুরে ৫ জন, বাগমারা ১০ জন মোহনপুরে ১৯ জন, তানোরে ১৭ জন, পবায় ৮ জন ও গোদাগাড়ীতে এক জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রতি লাখে ৩-৯ জন আক্রান্ত হলে সে এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত হবে। সে হিসেবে জেলার আক্রান্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জোনভিত্তিক বিভাজনে ‘ইয়েলো’ জোনের মধ্যে পড়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকা এবং জেলার তানোর ও চারঘাট উপজেলা।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রতি ১ লাখে ৩-৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে গণ্য হবে। এই হিসেব অনুযায়ী রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকা, তানোর ও চারঘাট উপজেলা ইয়েলো জোনের মধ্যে পড়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলা পড়ছে গ্রীন জোনের মধ্যে। এই তিন এলাকাকে ইয়েলো জোন ও উপজেলার অন্যান্য এলাকাকে গ্রীন জোন চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সোমবার প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, রাজশাহীর পুরো জেলা গ্রীন জোনের মধ্যে পড়বে। তবে কিছু এলাকা ইয়োলো জোনের মধ্যেও পড়ছে। এটা উঠানামা করছে। যেদিন কোনো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তখন সেই এলাকা ইয়োলো জোনের মধ্যে পড়ছে। আবার সুস্থ হয়ে ফিরে গেলে তখন সেই এলাকা আর ইয়োলো জোনের মধ্যে থাকছে না। এইভাবে গ্রীন ও ইয়োলো জনের মধ্যে উঠানামা করছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত রাজশাহী সিটি ও জেলায় ১৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। যেমন তানোরে মোট আক্রান্ত হয়েছিল ১৭ জন। কিন্তু ১২ জনই এখন সুস্থ। চারঘাটে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৪। তবে সুস্থ হয়েছেন দুই জন। কাজেই জোনভিত্তিক ভাগ এভাবে করা ঠিক হবে না। তিনি আরো জানান, রাজশাহীতে জনসংখ্যা ৩০ লাখ। এরমধ্যে কমপক্ষে ৩শতর অধিক হলে তবেই সে এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে। যদিও প্রতিদিনই পরিসংখ্যান পরিবর্তন হচ্ছে। সংক্রমণের হার বাড়ছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এপিএস/১৭জুন/পিটিআই/স্বপন