তালহা জাহিদ, বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় আষাঢ় মাস থেকে থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত বরিশাল সদর উপজেলার কড়াপুর এবং নভগ্রাম রোড সড়কের পাশের বিভিন্নখালে ও বিভাগের স্বরুপকাঠীর আটঘর, কুড়িয়ানা ও ইন্দেরহাট, মিয়ার হাট সহ ঝালকাঠী এবং বরিশাল জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় নতুন নতুন তৈরি ছোট নৌকা বিক্রির হাট বসতে শুরু করেছে বেচা-বিক্রিও ভাল। ওই উপজেলায় বিভিন্ন প্রজাতির নৌকার বেচাঁকেনা ইতি মধ্যে জমজমাট হয়ে উঠে। সর্বত্রই নৌকার কদর বেড়ে যাওয়ায় নৌকা তৈরির কারিগরদের এখন ব্যস্ততার কোনো শেষ নেই। বরিশালের খাল-বিল, নদী-নালা বেষ্টিত এলাকা উজিরপুর, হারতা,সাতলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চলাচল ও ব্যবসা বাণিজ্যের একমাত্র বাহক নৌকা। আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী থানায় ও বেড়ে গেছে নৌকার কদর।
জানা গেছে, কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা সবজি, ধান কাটা, বাগান থেকে পেয়ারাসহ, বিভিন্ন জাতের ফসল সংগ্রহ এবং বাজারজাত করার কাজে এই বিল অঞ্চলে নৌকার ছাড়া বিকল্প নেই। আর এ বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে নৌকা তৈরির কারিগররা দিন রাত শ্রমদিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে কাঠসহ নৌকা তৈরির উপকরনের অতিরিক্ত দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে নৌকা তৈরিতে খরচও বেড়েছে। তবে সে তুলনায় হাট-বাজারগুলোতে ক্রেতাদের কাছে নৌকার দাম বাড়েনি বলে জানান কারিগররা। নিজস্ব পুঁজি না থাকার কারনে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে উপকরণ কিনতে হয়। যে কারনে তারা তেমন দাম পায় না। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম নৌকারহাট স্বরুপকাঠীর আটঘরসহ আশপাশের বিভিন্ন নৌকা বিক্রির হাটগুলো এখন ক্রেতা বিক্রেতা সমাগমে সরগরম হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই প্রতি বছরের ন্যায় বরিশালের উজিরপুর, আগৈলঝাড়ার, পিরোজপুর, স্বরুপকাঠী ও ঝালকাঠী সহ দক্ষিণাঞ্চলের নদী-নালা খালবিল বেষ্টিত এলাকায় নৌকার কদর বেড়ে গেছে। এতে নৌকা নির্ভর এলাকাগুলোতে প্রচুর নৌকার চাহিদা বেড়েছে। আর এ বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে জেলার নৌকা তৈরির কারিগররা দিন রাত শ্রমদিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কাঠ, লোহাসহ নৌকা তৈরির উপকরণের দাম বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি নৌকার দাম।
তাছাড়া কারীগরদের নিজস্ব পূঁজি না থাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে উপকরণ কিনতে হয়। যে কারণে তারা কষ্টের তেমন দাম পায় না। তবুও তারা প্রতি হাটে তৈরি করা নৌকা নিয়ে হজির হয়। দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম নৌকারহাট আটঘর কুড়িয়ানা সহ আসপাশের বিভিন্ন নৌকা বিক্রির হাটগুলো এখন ক্রেতা বিক্রেতা সমাগমে সর্গরম হয়ে উঠেছে।
প্রায় দু’শ বছরের পুরানো বরিশাল ও ঝালকাঠির সিমান্তবর্তী আটঘর নৌকা কেনা বেচার হাটে বিক্রির জন্য জেলা বিভন্ন স্থান থেকে কারিগর এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নৌকা নিয়ে আসে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও গাড়িতে করে। এখান থেকে এসব নৌকা যাচ্ছে বৃহত্তর বরিশাল এবং ফরিদপুরের প্রত্তন্ত অঞ্চলে। প্রতি মৌসুমে এ হাটে এক থেকে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
এপিএস/১৪জুন/পিটিআই/তালহা জাহিদ