মোঃ আলাউদ্দীন মজুমদার শাহীন, সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ মানুষজন জ্বরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরেফিরে দেখা গেছে, উপজেলার প্রতিটি পরিবারের অধিকাংশ সদস্য তীব্র জ্বরে ভুগছেন। কিন্তু মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের কারণে তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হতেও ভয় পায়। যদি আবার ডাক্তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা বলে হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা আইসোলেশনের নামে অজানা কোথাও পাঠিয়ে দেয়। যার কারণে অনেকে হয়রানির ভয়ে ডাক্তার বা হাসপাতালে যাচ্ছেন না। ঘরোয়া বা স্থানীয়ভাবে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। নানা ধরনের ওষুধ সেবন করলেও সহজে ছাড়ছে না এই জ্বর। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন।
ছাপড়হাটি ইউনিয়নের বাবুজান মিয়া বলেন “বাহে মুই পরায় দীর্ঘ এক মাস থাকি জ্বরে ভুগছোম। আজকে একটু কোনো রকমে কয় গাস ভাত খানু।”
রামজীবন ইউনিয়নের নিজপাড়া ক্লিনিকের সেবিকা লিপি বেগম বলেন” আমি এক সপ্তাহ থেকে প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছি অনেক ওষুধ পাতি গেল আরোগ্য পাচ্ছি না।” এজন্য লোকাল বাজারগুলোতে দেখা দিয়েছে জ্বরের ওষুধ সংকট। কেন না রোগীরা ডাক্তারের কাছে না গেলেও ওষুধের দোকানে গিয়ে পরিচিত জ্বরের ওষুধ সংগ্রহ করে সেবন করছেন।
ডোমের হাট বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মানিক জানান, “নাপা,নাপা রেপিট,এইচ, এইচ প্লাসসহ জ্বরের ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। তাই অন্য সব কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করতে হচ্ছে।”
এব্যাপারে উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা বিশ্বেশ্বর বর্মণের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “বর্তমানে যারা মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছেন তাদের ৭০ ভাগেই জ্বর ও শ্বাস কষ্টের রোগী। এদের অধিকাংশের বয়সই ৬০ উপরে। তাদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে ৮০ হতে ৯০ জনেরই করোনা পজেটিভ। আর বেশির ভাগ রোগী গ্রাম থেকে আসা। জ্বর এবং শ্বাস কষ্ট থাকলেই আমাদের করোনা ধরে নিয়ে সচেতন হতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।”