মহিপুর – কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ- দীর্ঘ ১ যুগ ধরে কুয়াকাটা মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে হোটেল মোটেল আবাসিক এলাকায় বৃষ্টি এলেই জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হতো। পানিবন্দি হয়ে থাকতো দিনের পর দিন। ভোগান্তির শেষ হতো না কুয়াকাটা পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ।
মাত্র ৭শ ফুট ড্রেনেজের জন্যই প্রতি বর্ষার ৩ মাসের ভোগান্তিতে থাকতো কুয়াকাটার আগত পর্যটকরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা ।
টানা ৭দিনের বৃষ্টিতে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের হস্তক্ষেপে সেই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেল এলাকাবাসীরা ।
যার জন্য অত্যন্ত খুশি ওই এলাকায় হোটেল মোটেল শিল্পে বিনিয়োগকারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, কুয়াকাটা ১৯৯৮ সালে পর্যটন ঘোষনা হওয়ার পর বৃহত্তর লতাচাপলী ইউনিয়নের মধ্যে পরে এই এরিয়া।
কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে মহসড়কের পশ্চিম ও উত্তর দিকে দ্রুত বহুতল ভবন নিয়ে গড়ে উঠে প্রায় অর্ধশত আবাসিক হোটেল মোটেল। সেই থেকেই ড্রেনেজের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের । ২০১০ সালে কুয়াকাটাকে পৌরসভা ঘোষণার মাধ্যমে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে দাপ্তরিক কাজ চলে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ।
পরবর্তীতে পৌরসভায় প্রথম নির্বাচনে মেয়র আঃ বারেক মোল্লা নির্বাচিত হয়েও তার মেয়াদকালে পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থায় তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি।
বর্তমানে কুয়াকাটা পৌরসভায় কয়েক ‘শত কোটি টাকার কাজ চলছে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে। তার ভিতরে ড্রেনেজের কাজ অন্যতম। পটুয়াখালীর জনস্বাস্থ্য বিভাগ ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনেজের কাজ ২০১৯ সালে শুরু করে খোলা মাঠে। কোন অদৃশ্য কারণে গুরুত্বপূর্ন এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া উল্লিখিত ওয়ার্ডটিতে পূর্বে কেন ড্রেনেজ সুব্যবস্থা হয়নি তা কেউ জানে না।
বর্তমান মেয়র শপথ গ্রহণের ৪ মাসের মধ্যেই মাত্র ৭শ ফুট ড্রেনেজের এই অসম্পূর্ণ কাজ করে তাক লাগিয়ে দেন।
যা এখন সবার মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। ৩নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আঃ জলিল (৫৫) বলেন, প্রতি বছর এই সময় ঘর বন্দী থাকতাম , মসজিদে নামাজ পড়তে যাইতে পারতাম না আল্লাহ রহমত করছেন এবার। বর্তমান মেয়র মহোদয়কে ধন্যবাদ।
ভুক্তভোগী আলমগীর খান (৩০) বলেন, বর্ষার সময় এলেই টানা বৃষ্টি এলে বাসার সামনে রাস্তা তলিয়ে থাকতো বের হতে পারতাম না। তারপর বাসার সামনে যে মাঠে ছেলেরা খেলতো সেখানে হাটু সমান পানি থাকতো ৬ মাস ধরে। আর এখন সেখানে বাচ্চা পোলাপান খেলতে পারবে শুধু ড্রেনেজের কারণে।
এ ব্যাপারে মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভায় আমার মেয়াদের ৫ বছরে জনগণের কোন কষ্ট হোক তা আমি চাই না কারণ কষ্ট কি তা আমি নিজে সহ্য করেই এখানে আসছি এবং আল্লাহ আমাকে এ মহান দায়িত্ব দিয়েছেন। পর্যটন নগরী এই পৌরসভায় কোন জলাবদ্ধতা হবে না ও আরও সৌন্দর্য্য বাড়বে ইনশাআল্লাহ।