পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে রাস্তার পাসের খাস জমি থেকে এক ভূমিহীন পরিবার উৎখাত করতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও কুপিয়ে মোঃ সুমন ফকির (২৪) নামের একজনকে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মোঃ বশির আকন (৩৫) ও মোঃ নাসির আকন (৩৮) এই দুই জনের বিরুদ্ধে । এসময় ওই ঘরে থাকা অসহায় আসমা বেগম (৩৫), মাকসু বেগম(৪০), জাহানারা বেগম(৫৫) ও মোঃ সাইফুল ইসলামকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। আহতরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, পটুয়াখালীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩০শে জুন (বুধবার) সন্ধা ৭ টার দিকে পৌরশহরের ৬ নং ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকার স্বনির্ভর রোডের আবুল ফকিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার ( ৮ জুলাই) আহত সুমন ফকির বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । মামলায় মোঃ বশির আকন(৩৫), মোঃ নাসির আকন(৩৮), মোঃ হারুন আকন (৪৫), মোঃ হাসান আকন ও মোঃ সবুজ আকনকে আসামী করা হয়। এছাড়াও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা রাখা হয়।
আহত সুমন ফকির জানায় , মঙ্গলবার ৩০ জুন আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে যায়। সন্ধায় আমরা দরজা ঠিক করতে ছিলাম।এসময় ১০ থকে ১৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের ঘরের সামনে জড়ো হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বশির এর নেতৃত্বে তারা ঘরের ভিতরে ঢুকে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে, টাকা ও স্বর্ণ অলংকার ছিনিয়ে নেয়। এসময় আমি বাধা দিলে আমাকে কুপিয়ে জখম করে। আমার পরিবারের লোকজন তাদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে চাইলে আসমা বেগম (৩৫), মাকসু বেগম(৪০) ও জাহানারা বেগম(৫৫)কে শ্লীলতাহাণী ঘটায় এবং ব্যাপক মারধর করে করে ফেলে রেখে চলে যায় । পরে স্থানীয়রা এসে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার অবস্থার অবনতি হলে পটুয়াখালী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
আহত মাকসু বেগম বলেন, আমারা রাস্তার পাশে সরকারি এইটুক জায়গায় ঘর উঠিয়ে কোনরকম বসবাস করে আসছি। কয়েকদিন আগে বশির আকন আমাদেরকে এই জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছে। সে এই জায়গায় ঘর উঠিয়ে অন্য মানুষের কাছে ভাড়া দিবে। আমাদের তো আর থাকার জায়গা নেই কোথায় যাবো। বশির আমাদেরকে এই জায়গা থেকে উৎখাতের জন্য পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে ও মারধর করেছে । এই ঘরে কিছু নাই সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে ওরা । বশির আকন ভাবছে এভাবে নির্যাতন চালালে আমরা জায়গা ছেড়ে চলে যাব।
এবিষয় জানতে চাইলে মোঃ বশির আকন হামলার সত্যতা শিকার করে বলেন , যাদের সাথে মারামারি হয়েছে তারা আমার আত্মীয়-স্বজন। এক জায়গায় থাকলে এরকম ঘটনা ঘটে। হয়তো আমরা দুইটা বেশি দিছি ও ওরা দুইটা কম দিছে এইতো। এ বিষয়ে সালিশ মীমাংসা হওয়ার কথা চলছে । আমারা আগামীকাল কাউন্সিলর সাহেবকে নিয়ে বসবো।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ বলেন, ৩০ জুন হামলা হয়েছে আহতরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ৮ জুলাই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।