সকালের নাস্তা বাবদ পুরো মাসে মাত্র ৩০০ ইউরো সরকারি কোষাগার থেকে নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সারা ম্যারিন। ফিনল্যান্ডের ট্যাবলয়েড ইলটালেথির বরাত দিয়ে হেলসিঙ্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী কোষাগার থেকে অর্থ নিলেও প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো নিজের আয়ের খাত থেকে এ ধরনের ব্যয় বহন করেন। ফিনল্যান্ডের নাগরিকদের গড় আয় ৪৫ হাজার ডলার হলেও ৩০০ ইউরো ব্যয়ে অনেকে আপত্তি তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে বলা হয়েছে রাষ্ট্রের টাকায় প্রধানমন্ত্রী আসলেই কী কী কিনতে পারবেন বা কতটা ব্যয় করতে পারবেন সেটা পরিষ্কার করে জানাতে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ম্যারিনের আগে যারা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তারা পারিবারিক কাজে কেউ এত অর্থ খরচ করেননি। ফিনল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী একটি বাড়ি পান। সেই বাড়ির ভাড়া এবং সংস্কার কাজের পাশাপাশি আলো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং ফার্নিচারের খরচ দেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় স্টাফ খরচের কথা থাকলেও মুদি মালামাল ক্রয়ের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাস্তা সরবরাহ ও শীতল পানীয় সরবরাহ পাওয়ার অধিকারের ভিত্তিতে ব্যয়টি ন্যায়সঙ্গত। মেরিনের পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রী পাভো লিপোনেন, মেরি কিভিনিমি এবং জিরকি ক্যাটাইনেনও এ অধিকার ভোগ করেছেন। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে, আমি এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’ তিনি জানান, তার পরিবারের নাস্তা সরবরাহ পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের প্রক্রিয়ার অনুকরণ মাত্র।