আমি রোজ পাথর কুড়িয়ে রাখি একটি দুটি শতসহস্র,
আমার আঙিনাজুড়ে পাথরের স্তুপ, যেখানে কখনো ছিলো গোলাপের ঝাড়
জানি আবাবিল আসবেই।
আমার শিশুরা আর খেলনা খোঁজেনা ওরা পাথর ছুঁড়তে শিখে গেছে,
আমাদের বাড়িগুলো কেঁপে ওঠে, ধ্বসে পড়ে, খসে পড়ে পলেস্তারা,
গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায় ছাদ,কার্নিশ, ভেঙে পড়ে কড়ি বর্গা
তুমি কি ভাবছো এটা ভুমিকম্প?
না না এতো আগমনী সংগীত
জানি আবাবিল আসবেই।
আমাদের রমনীরা ঝলমলে হয়ে ওঠে পুত্র কিংবা তার পিতার রক্তে
যারা আকসায় নত ছিল কদরের রাত্রিতে আল্লাহর হেফাজতে,
তারা আল্লাহর কাছে ছিলো, আল্লাহর কাছে গেছে, সেই পথ ধরে,
জানি আবাবিল আসবেই।
আমাদের মেয়েগুলো অন্দরে নেই আজ ঘরকন্নার কাজ বন্ধ এখন
পাথর ছুঁড়তে গেছে, পাথর কুড়াতে গেছে, পাথরের চর্চাটা খুব প্রয়োজন
পাঠশাল চুকে গেছে,ক্যারিয়ার মুছে গেছে, সংসার ভেসে গেছে গ্রেনেডের গর্জনে
তবু প্রিয়জন হারানোর কাতরতা ভুলে গিয়ে পতাকা ওড়ায় ওরা আকসার প্রাঙ্গণে
সেই পতাকার রং দেখে সাগরের ওপার থেকে
জানি আবাবিল আসবেই।
যতবার আবরাহা রণসাজে সেজে ওঠে, ধ্বংস করতে আসে আল্লাহর ঘর,
ততবার উড়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল সাথে নিয়ে মুক্তির পাথরাস্ত্র
আমরা তৈরি থাকি, চর্চাটা ধরে রাখি পাথর ছোঁড়ার সেই মহোৎসবে
আকসার জমিনকে আঁকড়িয়ে পড়ে থাকি, দিগন্তে চোখ রাখি
জানি আবাবিল আসবেই।
শেখ ফাহমিদা নাজনীন
১৩ মে,২০২১।