কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তাঁর কাছে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন রাউল কাস্ত্রো। খবর বিবিসির।
১৯৫৯ সালে সালের পর থেকে এই প্রথম ফিদেল কাস্ত্রো ও রাউল কাস্ত্রোর বাইরে অন্য কেউ কিউবায় ক্ষমতাসীন হলেন। মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল কাস্ত্রোদের অনুগত। তাঁদের অর্থনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী তিনি।
৬০ বছর বয়সী মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেলের কাছে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন রাউল। জাতীয় সরকারের নেতৃত্বে আসার আগে মিগুয়েল দুটি প্রদেশে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাউল কাস্ত্রো। সে সময় তিনি দলীয় কংগ্রেসে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ভাষণে রাউল বলেন, তাঁর আশা নবীন নেতৃত্ব সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনায় দলকে এগিয়ে নেবে এবং দলীয় আদর্শের প্রতি অনুগত থাকবে। দিয়াজ ক্যানেল রাউল কাস্ত্রোর চেয়ে প্রায় ৩০ বছরের ছোট।
ফিদেল কাস্ত্রোর পরে ২০১১ সাল থেকে কিউবার শাসনক্ষমতায় রয়েছেন রাউল কাস্ত্রো। ১৯৫৯ সাল থেকে কিউবায় নেতৃত্ব দেন ফিদেল কাস্ত্রো। ২০০৬ সালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর দুই বছর পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর ভাইয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ২০১৬ সালে ফিদেল কাস্ত্রো মারা যান।
মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেলের জন্ম কিউবার বিপ্লবের পরে। তিনি কাস্ত্রোদের একনিষ্ঠ সমর্থক। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন দিয়াজ ক্যানেল। তিনি সান্তা ক্লারাতে ইয়ং কমিউনিস্ট লিগের সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালে দিয়াজ ক্যানেল শিক্ষামন্ত্রী হন। ২০১৩ সালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। পাঁচ বছর পরে ২০১৮ সালে কিউবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ৯৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ ভোটে তিনি কিউবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
দিয়াজ ক্যানেলের নেতৃত্বে কিউবা উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়া, বলিভিয়া ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। কাস্ত্রোদের মতাদর্শ বজায় রেখে কিউবায় শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করেছেন দিয়াজ ক্যানেল। এর মধ্যে দেশটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটেরও সম্মুখীন হয়েছে।
করোনাভাইরাসের মহামারিতে গত বছর কিউবার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় কিউবার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর দিয়াজ ক্যানেল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের আশা ব্যক্ত করেন।