তার জুনিয়র (সহকারী আইনজীবী)ও ভাগ্নে তাসলিম আহমেদ খান সাগর জানিয়েছেন, বুধবার বিকালে তার মৃত্যু ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
মতিন খসরু গত ১৬ মার্চ থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
মতিন খসরুর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শোক প্রকাশ করেছেন।
তাসলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মতিন খসরুর মরদেহ বৃহস্পতিবার ভোরে বকশীবাজারে নেওয়া হবে। সেখানে সকাল ৭টায় বাসা সংলগ্ন মসজিদ প্রাঙ্গণ অথবা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা হবে বলে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরপর বেলা ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মরদেহ কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ জোহর বুড়িচং ও পরে ব্রাহ্মণপাড়ায় জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিন খসরু কুমিল্লা-৫ আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকারে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন।
মতিন খসরুর জন্ম ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে।
আওয়ামী লীগে যুক্ত মতিন খসরু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং কুমিল্লা জেলার অবিভক্ত বুড়িচং থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।
১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন মতিন খসরু। পরে ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে নিয়মিত প্র্যাকটিস শুরু করেন তিনি।
পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন অনেক দিন।
মতিন খসরু আইনমন্ত্রী থাকাকালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলা হয়।
গত ১০ ও ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। গত ১২ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি।