করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত আমেরিকার জনগণের জন্য আরেক দফা প্রণোদনা সহযোগিতা আসতে পারে। এ নিয়ে আইনপ্রণেতারা কাজ শুরু করেছেন।
এক বছরে মহামারির অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া লোকজনকে আগে তিন দফা নগদ অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নাগরিক প্রণোদনা নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন সরকার। দেশের পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত নানা উপায়ে এই নাগরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আমেরিকার জনগণের আয়ের সীমা দেখে স্বল্প ও মধ্য আয়ের লোকজন ইতিমধ্যে জনপ্রতি ১ হাজার ৪০০ ডলার করে নগদ প্রণোদনা পেয়ে গেছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসার কর্মীদের মজুরি প্রদানের জন্য সহযোগিতা ছাড়াও সহজ শর্তে ব্যাপক ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। ঋণের কিছু অংশ কখনো ফেরত না দেওয়ার শর্তে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও তিন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে কাজ করার জন্য আইনপ্রণেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্ম সৃষ্টি ও সামাজিক বৈষম্য দূর করার জন্য এই প্রণোদনা প্যাকেজে প্রাধান্য দেওয়া হবে। সঙ্গে আরেক দফা নগদ অর্থ দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেকারত্বের হার কমে এলেও অগ্রগতি ধীর। ফলে বেকার ভাতার মেয়াদ আরেক দফা বর্ধিত করা যায় কি না, তা নিয়ে কাজে নেমেছেন আইনপ্রণেতারা। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির উদারনৈতিক আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ও বার্নি স্যান্ডার্স আরেক দফা নগদ অর্থ প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের জনগণের মধ্যে এখনো সংকট তীব্র উল্লেখ করে এই দুই উদারনৈতিক আইনপ্রণেতা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শ্রেয়তর আমেরিকা পুনর্গঠনের জন্য আরেক দফায় জনগণকে নগদ প্রণোদনা দেওয়া প্রয়োজন। এখনো লাখ লাখ কর্মক্ষম লোকজন কাজ পাচ্ছেন না। বেকার ভাতার মেয়াদ বৃদ্ধিসহ খাদ্য ও চিকিৎসাসেবায় প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে হবে বলে এই আইনপ্রণেতারা মনে করেন।
করোনা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষার সময় বাড়ছে। কোনো কোনো এলাকায় নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। এ কারণে বাড়ছে উদ্বেগ-আশঙ্কা।
২৭ মার্চ ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই ধাপের কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন। একটি পুনর্বাসন, অন্যটি পুনর্নির্মাণ।
সব মিলিয়ে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ নিয়ে কাজ চলছে। এপ্রিল মাসের যেকোনো সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন।