বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিমানে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদিকে লালগালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ ১০ দিনের অনুষ্ঠানে বিদেশি নেতারা অংশ নিয়েছেন। শেষ দিন (২৬ মার্চ) অংশ নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদির এই সফরে স্থান পাবে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ও।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দেশ, প্রতিবেশী, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কারণে দুই দেশের সম্পর্ক সুগভীর। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ দেশটির সরকার প্রধানের সফর উপলক্ষে নিরাপত্তার কঠোরতাসহ আয়োজনের কোনো ত্রুটি রাখেনি বাংলাদেশ।
শুক্রবার এসেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশহীদদের শ্রদ্ধা জানাবেন। ধানমন্ডি-৩২ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জানাবেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শন করবেন। বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মোদি।
শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার সুন্দরবনের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা ঈশ্বরীপুর যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা দিতে যাবেন। যশোরেশ্বরী মন্দিরে পূজা দেয়ার পর সকাল ১০টার দিকে তিনি মন্দির ত্যাগ করবেন। এরপর তিনি হেলিকপ্টারযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি ও কাশিয়ানী উপজেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন।
এছাড়া বাংলাদেশ সফরে তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেকগুলো চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অন্যতম। এছাড়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে আসবে বলেও জানা গেছে।