মিয়ানমারে খিন মিয়ো চিট নামের সাত বছরের এক শিশু নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে। পরিবার বলছে, ছোট্ট মেয়েটি মান্দালে শহরে তার বাড়িতেই ছিল। এ সময় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ঘরের ভেতরে থাকা মেয়েটির বাবাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল। গুলিটি বাবার কোলে বসে থাকা মেয়েটির শরীরে লাগে।
বিবিসির আজ বুধবারের খবরে জানা যায়, ত্রাণকর্মীরা বলছেন, উদ্ধারকারী দল খিনকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে তাকে বাঁচানো যায়নি। পরিবার বলছে, খিনের ১৯ বছরের ভাইকেও আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সেভ দ্য চিলড্রেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মান্দালেতে ১৪ বছরের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর খিনকে হত্যার মতো ভয়ংকর এ ঘটনা ঘটল। সেভ দ্য চিলড্রেন আরও জানিয়েছে, বাড়িতে থাকার সময় শিশুদের হত্যা করার ঘটনা ঘটছে। এটি আরও উদ্বেগজনক। এত বেশি শিশুকে এভাবে হত্যার ঘটনা মানবতার জন্য হুমকি।
সেভ দ্য চিলড্রেনের হিসাবে মিয়ানমারে ২০ জনেরও বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, দেশটিতে বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ১৬৪ জন নিহত হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) বলছে, এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬১ জন নিহত হয়েছে।
সেনাবাহিনী স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে বলে তারা অভিযোগ তুলেছে। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, সহিংসতা ও অরাজকতার জন্য অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীরা দায়ী।
মান্দালেতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন—এমন এক কর্মী রয়টার্সকে জানান, চ্যান মিয়া থাঝি শহরে গুলির আঘাতের কারণে সাত বছরের শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে। দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। এরপর থেকেই ইয়াঙ্গুন, মান্দালেসহ বিভিন্ন শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। জান্তার দমন–পীড়নের মুখেও বিক্ষোভ চলছে।