সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অনুমোদন আছে-গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়ার পর বাইডেন প্রশাসন থেকে সৌদির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসে কি না, সেটি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পরপর এ বিষয়ে তেমন কিছুই বলেননি ট্রাম্পের উত্তরসূরি।
অথচ ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাইডেন বলেছিলেন, খাসোগি হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তিনি শাস্তি দিতে চান। সিএনএন লিখেছে, প্রার্থী থাকার সময় এই ধরনের কথা বলা সহজ হলেও প্রেসিডেন্টের পদে থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন।
বিশ্ব রাজনীতিতে সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় ‘কৌশলগত মিত্র’ হিসেবে বিবেচনা করে। ট্রাম্পের আমলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হয়। সেই দিনগুলোতে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোয়েন্দা প্রতিবেদন চেপে যান।
বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে রয়টার্স একটি প্রতিবেদনে বলছে, বাইডেন আপাতত কোনো শাস্তির কথা না বললেও ভবিষ্যতে কিছু একটা পদক্ষেপের বিবেচনা করে থাকতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দপ্তরের এই প্রতিবেদন বলছে, ‘সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা বা আটক করতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি ক্রাউনের প্রিন্সই এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা বলে ২০১৮ সালেও সিআইএ সন্দেহ করেছিল। তবে এর আগে কখনও বিষয়টি প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
সৌদি আরবের দাবি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স সালমানের কোনো যোগসূত্র নেই, ‘এই অপরাধ ভিন্ন একটি গ্রুপ করেছে, যারা সব প্রাসঙ্গিক বিধি লঙ্ঘন করেছে।’
‘জড়িত সবাইকে অভিযুক্ত করে সাজা দিয়েছে আদালত। এই সাজা খাসোগির পরিবারও স্বাগত জানিয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার ক্রাউন প্রিন্সের বাবা বাদশা সালমানের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে জো বাইডেন ‘সর্বজনীন মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের গুরুত্বের বিষয়ে’ যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যক্ত করেন বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে।
তখনই ধারণা করা হয় তিনি খাসোগি হত্যার বিষয়টি ট্রাম্পের মতো চেপে যাবেন না।
ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে ২০১৮ সালে খাসোগিকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করা হয়। তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের জন্য বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখতেন। তাতে প্রায়ই সালমানের সমালোচনা করতেন।