মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দিতে বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। খবর বিবিসি।
নির্বাচনের বিপরীতে এ ঘটনা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করে জানান, অভ্যুত্থানকারীদের বুঝিয়ে দিতে হবে এভাবে দেশ শাসন করা যাবে না।
সোমবারের অভ্যুত্থানের ঘটনায় পরদিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি চীন।
নিরাপত্তা পরিষদ থেকে কোনো দেশের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতির জন্য চীনের সমর্থন লাগে। দেশটি পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ায় ভেটো ক্ষমতার অধিকারী।
জাতিসংঘ মহাসচিব দেশটিতে সাংবিধানিক ক্ষমতা পুনরায় বহাল করার আহ্বান জানান। তিনি আশা করেন এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ একমত হবে।
আরও জানান, এ অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করতে যা যা করা দরকার তাই করবেন।
সোমবারের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি আটক আছেন।
তার বিরুদ্ধে পুলিশ একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে। সু চিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে রাজধানী নেপিডো থেকে সু চির সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও। এ ছাড়া রাজধানী একটি সরকারি হাউজিং কমপ্লেক্সে উন্মুক্ত বন্দীশালায় অন্তত ৪০০ আইনপ্রণেতাকে আটকে রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সু চি সরকারের মন্ত্রীদের বরখাস্ত করে নতুন সরকার ঘোষণা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের অল্প সময়ের পর একজন সাবেক জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সু চি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।
নতুন মন্ত্রীদের অধিকাংশই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন রয়েছেন সেনা সমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য। ইউএসপিডির অন্যতম নেতা উনা মং লউনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।