গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর নুর হাওয়া নামে ৩ মাসের এক কন্যাশিশুর লাশ টয়লেট থেকে উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। শিশুটিকে জীবন্ত অবস্থায় টয়লেটের ভিতরে ফেলে হত্যা করেন পাষণ্ড মা। এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করায় নিহতের মা তানজিনা বেগম (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার বিকেলে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ধুমাইটারী (জকরীপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আটক তানজিনা বেগম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির টয়লেটের ভিতর থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তানজিনা বেগম ওই গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার বিকেলে ঘরের ভিতর থেকে নিখোঁজ হয় নুর হাওয়া। আশেপাশে ও প্রতিবেশির বাড়িতে খোঁজ করেও সন্ধান না পেয়ে রাতেই থানায়মজিডি করেন বাবা নুর ইসলাম। কিন্তু তার মায়ের নিরব ভূমিকা ও আচরণে সন্দেহ হয় সবার। পরে পরিবার ও স্থানীয়রা শিশুটির মা তানজিনা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ ও চাপ প্রয়োগ করলে টয়লেটে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির টয়লেটের ভিতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করায় মা তানজিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তবে, কি কারণে শিশুটিকে জীবন্ত অবস্থায় টয়লেটে ফেলে হত্যা করা হয়েছে তা জানায়নি। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে শিশুটিকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছে অভিযুক্ত শিশুর মা।
এদিকে প্রতিবেশিরা বলছে, ওই নারী কখনো মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো না। তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। পারিবারিক কলহে অশান্তির কারণে স্বামীর সংসার না করতেই শিশুটিকে হত্যা করেন। যাতে এই শিশুটি তার কাছে বোঝা না হয়। এর আগেও ওই নারীর একাধিক বিয়ে হয়েছিল। তার আগের স্বামীর একটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান আছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। এলাকাবাসী বলেন যে এই অপরাধের কারনে তাকে যেন কঠিন শাস্তি দেয়া হয় দাবি জানিয়েছেন।