অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর করোনা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি টিকার কার্যকারিতা প্রকাশ করলেন গবেষকেরা। যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে ট্রায়ালে টিকাটির ৮৯.৩ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির মেডিকেল এডিটর ফারগুস ওয়ালশ জানান, নোভাভ্যাক্সের এ টিকা যুক্তরাজ্যের করোনার নতুন স্ট্রেইন প্রতিরোধে কার্যকারী। যেটি অন্য কোনো টিকার ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।
এ টিকাকে স্বাগতম জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি জানান, এটি ভালো খবর। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত এই টিকার মূল্যায়ন করতে।
টিকাটির ৬ কোটি ডোজ নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সরকার। স্টকটন-অন-টিজে সেগুলো প্রস্তুত করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদনের পর এসব ডোজ এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সরবরাহ করা হবে বলে আশা প্রকাশ হচ্ছে।
মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি নোভাভ্যাক্স জানায়, যুক্তরাজ্যে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তাদের টিকার ৮৯.৩ শতাংশ কার্যকারিতা প্রকাশ পেয়েছে।
১৮ থেকে ৮৪ বছর বয়স পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি মানুষ এ ট্রায়ালে অংশ নেন। এর মধ্যে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের ছিল ২৭ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবীর।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও টিকাটির ট্রায়াল চালানো হয়েছে। দেশটি থেকেও করোনার নতুন একটি স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানের ট্রায়ালে দেখা গেছে, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে নোভাভ্যাক্সের টিকার।
নোভাভ্যাক্সের প্রধান নির্বাহী স্ট্যান এর্ক বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যে এ টিকার ট্রায়ালের ফলাফল অসাধারণ। আমরা যতটা আশা করেছিলাম, ততটা ভালো। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে প্রত্যাশার ঊর্ধ্বে ছিল।’
মার্চ-এপ্রিলের দিকে স্টকটন-অন-টিজে টিকাটির উৎপাদন শুরু হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। এর মধ্যে টিকাটি অনুমোদন পেয়ে যাবে বলেও আশা করছেন তিনি।
এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। অনুমোদন ও টিকাদান কর্মসূচি বিশ্বের সবার আগে শুরু করে দেশটি।