ইবি প্রতিনিধি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর এম এম নাসিমুজ্জামানের বিরুদ্ধে এক শিক্ষককে ‘খুনের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।
এ নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টরকে পদ থেকে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তা হাবিবুল ইসলাম এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘লজ্জা থাকা দরকার। কে দেবে তাদের শিক্ষা? দেখেছি ইবির কর্মকর্তা কর্মচারীদের নোংরা রাজনীতি আর মারামারি। শেষ অব্দে এসে এটাও দেখতে হলো। এদের ঘৃনা করার মতো ঘৃনাও লজ্জা পায়। ইবি এসবের জন্য নোবেল পাবে সে সময় খুব কাছেই।’
অপর এক স্ট্যাটাসে আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দীন আবির লিখেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক থেকে কখনোই আমরা সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ আশা করি না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক যাতে ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনার কোন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
ওই পোস্টের কমেন্টে ইমাম জুয়েল নামে এক শিক্ষার্থী লিখেন, বুঝি না। নৈতিকতার অভাবে যারা পঙ্গু প্রায়। ক্ষমতার অপব্যবহার যাদের কাছে নিত্যদিনের অভ্যাস। তাদের কাছেই কেন ক্ষমতা চর্চার সুযোগ পৌছায়? তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তার প্রতিবেশির সাথে। এখনো তার পদে সে কেন বহাল আছেন!
অপর এক স্ট্যাটাসে একই বিভাগের শিক্ষার্থী এবি সিদ্দিক লিখেন, ‘একজন শিক্ষক যখন সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তখন এর চেয়ে আর লজ্জার কিছু থাকে না, এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি চাই। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছ থেকে জাতি কখনো এমন আশা করে না। মাস্তানির জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার জায়গা। সহকারি প্রক্টর এস এম নাসিমুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এর আগে গত শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক। পরে গতকাল শনিবার (২ জানুয়ারি) এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার বরাবর ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।