ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা শর্ত আরোপ করে অনুমোদন দিতে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্স বলেছে, ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার বৈঠক করে অনুমোদনের পক্ষে সায় দেন।
এখন বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের দপ্তরে (ডিসিজিআই) পাঠানো হবে। এরপর জানুয়ারিতেই নাগরিকদের টিকা দেওয়া শুরুর লক্ষ্যে শনিবার সব রাজ্যে মহড়া হওয়ার কথা রয়েছে ভারতে।
যুক্তরাজ্য ৩০ ডিসেম্বর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ডের ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর এ টিকা আর্জেন্টিনায়ও অনুমোদন পায়।
এনডিটিভি জানায়, তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী দামের অক্সফোর্ডের টিকা অনুমোদনের জন্য সায় পাওয়ার বিষয়টি ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার এই দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে এক কোটি ২ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে ভারতে ত্রিশ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির সরকার।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, আগামী এক বছরে তারা পুরো বিশ্বের জন্য তিন বিলিয়ন ডোজ টিকা তৈরি করবে। আর ভারতে এই টিকা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া।
ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়ালা জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে ৫ কোটি ডোজ টিকা তৈরি করে ফেলেছেন। আগামী মার্চের মধ্যে অন্তত ১০ কোটি ডোজ তারা বাজারে ছাড়তে চান।
বাংলাদেশে জানুয়ারিতে এ টিকার তিন কোটি ডোজ সরবরাহ করা হবে। সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়ার কাছ থেকে এই টিকা বাংলাদেশে সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ করার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও এই টিকা বিক্রির পরিকল্পনার কথা বেক্সিমকো ইতোমধ্যে জানিয়েছে।