ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ‘সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ’র বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে চেয়েছে প্রশাসন। উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার অনুষদগুলোর ডিন ও ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালকদের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে মতামত জানতে চেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায় টিএসসির সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। টিএসসির সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও সুপারিশ আহ্বান করা যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে ২ জানুয়ারির মধ্যে মতামত ও সুপারিশ পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ডিন ও পরিচালকদের অনুরোধ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের পরিচালক, উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের দপ্তরেও এই বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মতামত দিতে পারবেন।
শিক্ষকদের কেউ কেউ ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট টিএসসির দৃষ্টিনন্দন ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও টিএসসিকে নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর।
নকশা প্রস্তুত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে চাহিদাপত্র নিয়েছে। টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরকে টিএসসির নতুন অবয়বে কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকতে পারে তার একটি তালিকা দিয়েছেন। সম্প্রতি তালিকাটি গণপূর্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর।
গ্রিক স্থপতি কনস্ট্যান্টিন ডক্সিয়াডেস ষাটের দশকের শুরুতে টিএসসির নকশা করেছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের আমলে ভবনটির নির্মাণ শেষ হয়।