ইবি প্রতিনিধি-
গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মুক্তিযুদ্ধ স্মারক ভাষ্কর্য ‘মুক্তবাংলায়’ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র অনুমোদিত ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
বৃহস্পতিবার পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিন এক বিবৃতিতে ঘটনাটি অনভিপ্রেত ও চরম নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইবিতে ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনা আকস্মিক নয়। বিগত প্রশাসনের ‘ত্যাগ কর শাসন কর’ নীতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় ও প্রত্যক্ষ মদদে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বার্থরক্ষাকারী বিভিন্ন সামাজিক ও পেশা ভিত্তিক সংগঠন গুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে যে ভুঁইফোড় সংগঠনসমূহের জন্ম দেয় এটি তারই প্রতিফলন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতোমধ্যে এদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনে অসংখ্য অপকর্ম সাধিত হয়েছে। বাঙালির হাজার বছরের সেরা অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সেই অর্জন থেকে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোটি বাঙালির চেতনা ও অনুভূতির যে ভাস্কর্য সে জায়গাটিও তাদের হাতে কলুষিত হয়েছে। এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অসম্মানের। ঐদিন বিশ্ববিদ্যালয় যা ঘটেছিল সেটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উপর বিন্দু পরিমান কালিমা লেপন একেবারেই সহ্যাতীত।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তার অফিস রুমে যখন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করছিলেন ঠিক তখন কতিপয় কর্মকর্তা ভিসির কক্ষে অনুপ্রবেশ করে তার সাথে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ওখানে উপস্থিত শিক্ষকদের তারা হুমকি প্রদর্শন করে। বিবৃতিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় সকলকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখার আহবান জানান।