যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত জয় দেখছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। ম্যাজিক ফিগার থেকে আর মাত্র ৬ ভোট দূরে তিনি। অন্যদিকে হাল ছাড়ার পাত্র নয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাইডেনের ঝুলিতে যাওয়া ব্যাটলগ্রাউন্ড খ্যাত উইসকনসিন, মিশিগানসহ চার রাজ্যে ভোট গণনা বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়ে মামলা করেছেন তিনি।
তবে বাইডেন একটিতে জয় পেলেই চূড়ান্ত ফলাফলে বিলম্ব হওয়া ছাড়া মামলাগুলো কার্যত কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না।
আলজাজিরা জানায়, নির্বাচনের রাতে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে ফের একই বক্তব্য দিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী।
কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই আবারও তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘যদি বৈধ ভোট গণনা হয়। তাহলে সহজে আমি জিতে যাই। যদি অবৈধ ভোট গোনা হয় তাহলে তারা নির্বাচন চুরি করার চেষ্টা করছে। ’
দেরি আসা ভোট গোনা নিয়ে ‘দুর্নীতি’ হয়েছে বলে অভিযোগ তার। তার ভাষ্য, ‘এতে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।
‘
ট্রাম্প বলেন, ‘মানুষ জানে কী ঘটছে। জোরেশোরে তদন্ত চলছে। ভোট চুরির চেষ্টা চলছে। এটি আমরা হতে দিতে পারি না’।
এদিকে বাইডেনের ভাষ্য, ভোট গণনা শেষে তিনিই যে জিতছেন এ ব্যাপারে তার কোনো সন্দেহ নেই।
নিজের চূড়ান্ত বিজয় ধরে নিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। বাইডেন বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা যে অবস্থানে আছি, এতে আমাদের খুব ভালো লাগছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সবাই শান্ত থাকুন। পুরো প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। ভোট গোনাগুনি এখনো শেষ হয়নি। এবং আমরা জানি এটি শিগগিরই শেষ হবে। ’
বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে প্রতিটা ভোটই শুদ্ধ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ভোটারদের ইচ্ছায়, অন্য কারো ইচ্ছায় নয়। সুতরাং প্রতিটা ভোটই গণনা করতে হবে। এবং সেটিই হতে যাচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি। ’
ফক্স নিউজের হিসাব মতে, ২৬৪টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নিয়ে চূড়ান্ত বিজয়ের কাছাকাছি বাইডেন। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেক্টোরাল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের জন্য লড়েছেন প্রার্থী দু’জন। জয় পেতে দরকার দুই-তৃতীয়াংশ ইলেক্টোরাল, অর্থাৎ ২৭০টি।
তবে নির্বাচনে নিজের জয় দাবি করে ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ চারটি অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনার উপর মামলা করা ফলাফল প্রকাশ নিয়ে জটিলতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।