ইবি প্রতিনিধি-
‘শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারকে রুটিন ভিসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যা শুধু দুঃখজনক নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় কনসেপ্টের সাথে একেবারেই অসঙ্গতিপূর্ণ এবং স্বায়ত্তশাসন নীতিমালার পরিপন্থী।’
শুক্রবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মােস্তাফিজুর রহমান সাক্ষতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানিয়ে এসব মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালযয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পদ শূন্য হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যিনি একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এটি শুধু দুঃখজনকই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় কনসেপ্টের সাথে একেবারেই অসঙ্গতিপূর্ণ এবং স্বায়ত্তশাসন নীতিমালার পরিপন্থী।
শিক্ষক নেতারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহারপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনাে একজন সিনিয়র অধ্যাপককে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগদানের জোর দাবি জানাই। একইসাথে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এদিকে শেকৃবির রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন ভিসি হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন। অভিনন্দন বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন ভিসির দায়িত্ব দেওয়ার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রলালয়, ইউসিজিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য, উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য হয় চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১৪ তারিখ। অবিভাবক শূন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজের দীর্ঘসূত্রিতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন আটকে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমতাবস্থায় চলতি মাসের ২০ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শেকৃবির রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমকে রুটিন ভিসি হিসিবে দায়িত্ব দেয়।