পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য মানহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যার বেশিরভাগেরই নেই লাইসেন্স ও মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা। প্রতিনিয়তই ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। মাঝেমধ্যে ভুয়া চিকিৎসক এবং টেকনোলজিস্টদের দিয়ে রিপোর্ট তৈরির অভিযোগও রয়েছে।
পিরোজপুরে সরকারি একটি জেনারেল হাসপাতাল এবং ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও বিভিন্ন পরীক্ষা এবং অপারেশনের জন্য রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দেন স্থানীয় দালাল এবং কতিপয় চিকিৎসক-কর্মচারীরা।
অভিযোগ রয়েছে শহরের লাবণ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফাতেমা ক্লিনিকসহ কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকের নেই লাইসেন্স ও রেজিস্টার চিকিৎসক। ফলে প্রতিনিয়তই হয়রানি হচ্ছে রোগীরা। গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।
ভুক্তভোগী একজন জানান, এই ক্লিনিকে দক্ষ নার্স এবং এমবিএস চিকিৎসক থাকার কথা কিন্তু এই ধরনের দক্ষ কেউ নেই।
মালিক পক্ষ দাবি করে বলেন, আমরা শতভাগ কাগজপত্র নিয়ে লাবণ্য ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছি।
তবে সব নিয়ম মেনেই বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দাবি মালিক পক্ষের। আর সিভিল সার্জন বললেন, মানহীন ক্লিনিক পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, লাবণ্য ক্লিনিকের লাইসেন্স ২০১৮-২০১৯ সাল পর্যন্ত নবায়নকৃত আছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে তাদের লাইসেন্স দেয়া হবে।
পিরোজপুরে বর্তমানে ৩৫টি ক্লিনিক ও ৬৬টি নিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।