সীতাকুন্ডে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যার পর লাশ মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় মুরগির ঘরের নিচে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় নুর উদ্দিন (৪৫) নামের ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি উপজেলার ফৌজদারহাট ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।
একই ইউনিয়নের সলিমপুর এলাকার লাল মিয়ার ভাড়া ঘরে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন নিহত ব্যক্তি। এ ঘটনায় রুমেন মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তিনিও তাদের সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান সালা উদ্দিন আজিজ জানান, গ্রামের নারীদের মধ্যে কিছু একটা নিয়ে কানাঘুষা চলছিল। স্থানীয় মেম্বার মোস্তাকিম আরজু বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করলে নুর উদ্দিন নামের একজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পায়। এতে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক রুমেন মিয়া জড়িত বলেও জানতে পারেন তিনি। তখন মেম্বার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের কাছে নুর উদ্দিন কোথায় জানতে চাইলে প্রথমে জানেন না বলে জানান। পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা ও কৌশলে জিজ্ঞাসা করলে হত্যা ও লাশ পুঁতে ফেলার কথা স্বীকার করেন স্ত্রী।
এরপর ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি থানায় অবহিত করেন। পুলিশ গিয়ে রুমেন মিয়াকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তিতে মুরগির ঘরের মাটি খুঁড়ে নুর উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে। এই দুই দিন তাদের সব স্বাভাবিকভাবেই চলছিল, কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি বলেও তিনি জানান।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি তদন্ত সুমন বণিক জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, রুমেন মিয়া একার পক্ষে নুর উদ্দিনকে মেরে মাটি চাপা দেওয়া সম্ভব না। হত্যায় নিহতের স্ত্রী জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।