বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রথম ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে রাশিয়া। দেশটির তৈরি ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ নিয়ে ভারতসহ ২০টি দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে।
রুশ সরকারের একটি সূত্র জানায়, ভারতে ওই ভ্যাকসিন ট্রায়ালের পাশাপাশি উত্পাদনও হবে।
এই সময় জানায়, মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।
ভ্যাকসিনটি অনুমোদনের পরেই রাশিয়া জানায়, ভারতসহ ২০টি দেশ আগে থেকেই ভ্যাকসিন চেয়ে রেখেছে। আর তার পরিমাণ ১ বিলিয়ন তথা ১০০ কোটি ডোজ।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়ার পর পুতিন বলেন, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ। তার কন্যা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শরীরে নিয়েছেন।
রাশিয়ার ডাইরেক্ট ইনভেসমেন্ট ফান্ডের (RDIF) প্রধান ক্যারিল দিমিত্রিভ জানান, এরই মধ্যে ২০টি দেশ থেকে রাশিয়ার গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির তৈরি কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের এক বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের অর্ডার এসেছে।
আরডিআইএফ জানায়, এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হবে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল, ফিলিপাইন এবং ভারতে। এর পরে শুরু হবে উত্পাদন।
ভারত ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং কিউবায় ‘স্পুটনিক ভি’ উত্পাদন হবে বলে দাবি করা হয় রুশ সরকারের বিবৃতিতে।
ভারত রাশিয়ার ভ্যাকসিনের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে বলে মস্কো দাবি করলেও এখনো নয়াদিল্লি এ সিয়ে সরকারিভাবে কোসো মন্তব্য করেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে কী বলে, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস।
পুতিন নিরাপদ বলে দাবি করলেও রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিন নিয়ে এখনো নানা মহলে তর্ক-বিতর্ক চলছে। অনেকেই মনে করছেন প্রথম হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে।
কারণ, ভ্যাকসিনের প্রথম স্তরের ট্রায়ালের পরেই রাশিয়া দাবি করে ভ্যাকসিন সার্বিকভাবে প্রয়োগের জন্য তৈরি। যেখানে অক্সফোর্ড, মডার্নার ভ্যাকসিন এখনো তৃতীয় স্তরের ট্রায়ালে রয়েছে।